রামগড়ে ফারুক হত্যার মূল আসামী মৃদুল ত্রিপুরা আটক, হত্যার দায় স্বীকার
 
নিউজ ডেস্ক
গত ১১ জুলাই খাগড়াছড়ির রামগড়ে রাতের আঁধারে নিজ বাড়িতে যাবার পথে মোঃ ওমর ফারুক নামের এক যুবককে নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনায় শ্বাসরুদ্ধ এক অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী মৃদুল কান্তি ত্রিপুরাকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ। আজ শনিবার (১লা জুলাই) আটককৃত মৃদুল ত্রিপুরা পৌরসভার কালাডেবা এলাকার উপেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওমর ফারুকের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে রামগড় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আসামির কাছ থেকে ফারুকের ব্যবহৃত শাওমি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, আসামী পুলিশের নিকট দেওয়া স্বীকারোক্তির মাধ্যমে জানায় যে, ঘটনার কয়েকদিন আগে আসামী মৃদুল ঘটনাস্থলের ১০০/১৫০ গজ পশ্চিমে রাস্তার ব্রীজের উপরে সন্ধ্যা রাত্রে দুই পা মেলিয়া বসে মোবাইলে কথা বলছিল, ফারুক হেঁটে যাওয়ার সময় মৃদুলের পায়ের সাথে আঘাত লাগে। এসময় মৃদুল দুঃখিত কাকা বলার পরেও ফারুক মৃদুলকে থাপ্পর মারে, এ ঘটনায় ফারুককে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে আসামি মৃদুল।
ঘটনার দিন ঐ সময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ওমর ফারুক ছাতা মাথায় ও মোবাইলের হেডফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলো, ফারুক ঘটনাস্থলে ব্রীজের উপর অপেক্ষারত মৃদুলকে ক্রস করে চলে গেলে মৃদুল পিছু নেয় এবং কাঠের চেলি দিয়ে ছাতার উপর দিয়ে ফারুকের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এসময় ফারুক মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে গেলে আসামী মৃদুল ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকেই ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে রামগড় থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে আটককৃত আসামী মৃদুল ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে ফারুক হত্যার মূল আসামী গ্রেফতারের খবর শুনে স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর। এমন হিংস্র ঘটনায় হত্যাকারী মৃদুল এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
