বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে হত্যাকাণ্ড: দুই বছরেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা
![]()
নিউজ ডেস্ক
দীর্ঘ ২ বছরেও বিচার পায়নি রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার। গ্রেফতারও হয়নি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল আসামিরাও। এতে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রাও। আদৌ এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ১৮ মার্চ রাঙামাটি জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলা নিবার্চনের দিন ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উপজেলার কংলাক থেকে ব্যালট পেপার বহনকারী গাড়ি নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান আরবের নেতৃত্বে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফিরছিলেন। নয়কিলো এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ব্যালট ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ওই গাড়িটিকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলে প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৮ জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল হান্নান আরব, বাঘাইছড়ি কিশালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার মো. আমির হোসেন (৪০), ভিডিপি সদস্য মো. আল আমিন (১৭), বিলকিস আক্তার (৩০), মিহির কান্তি দত্ত (৩৫), জাহানারা বেগম (৩৭) ও মন্টু চাকমা (৩৫)। আহত হয় ৩৩জন। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করলেও গ্রেফতার হয়নি মূল হত্যাকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বাঘাইছড়ি সার্কেল এ এস পি মো. আবদুল আওয়াল মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে হতাহতদের পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, দুই বছর হলে গেলো কিন্তু নির্বাচনের সহিংসতাকারীরা এখনো গ্রেফতার হলো না। তাদের উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটনছে। এদের প্রতিহত করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। বাঘাইছড়িবাসি আর কোন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে মেনে নিবে না। অবিলম্বে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক বিচার করা না হলে বাঘাইছড়িবাসি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা।