গণতন্ত্র সুরক্ষার অঙ্গীকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর
 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সেনা প্রধান মিন অং হাইং। ২৭ মার্চ শনিবার মিয়ানমারের স্বশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতীর উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানায় বিবিসি।
পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনা প্রধান মিন অং হাইং। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করবেন সে বিষয়ে তিনি কোনো ইঙ্গিত দেননি। সেনাপ্রধান হ্লাইং বলেন, গণতন্ত্রের সুরক্ষায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী পুরো জাতির সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করতে চায়।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বেআইনী কার্যকলাপের কারণে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।
১৯৪৫ সালে জাপানের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ গড়ার দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ২৭ মার্চ মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। সাধারণ বিদেশি অনেক কূটনীতিক মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন। তবে এবার তার ব্যত্যয় ঘটেছে। এবার শুধু রাশিয়ার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফরমিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির সেনাবাহিনীর উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু রাশিয়া সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে শনিবারের ভাষণে হ্লাইং সে কথা উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়া আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
এর আগে সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালনে কোনো বাধা বা অরাজকতা সৃষ্টি করলে বিক্ষোভকারীদের মাথায় গুলি করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় জান্তা সরকার। টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যমে এই হুঁশিয়ারি দেয় সেনাবাহিনী। তবে সেনাদের এই হুমকি উপেক্ষা শনিবার রাস্তায় নেমেছে গণতন্ত্রকামীরা।
শুক্রবার বিক্ষোভে হামলার জেরে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে দেশটিতে ৩শর বেশি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৯০ ভাগকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যার ২৫ ভাগই করা হয়েছে মাথায়।
