রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু - Southeast Asia Journal

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন। তবে শত চেষ্টার পরও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারছেন না তারা। বিকেলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে না আসলে প্রশাসন কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (২০ জুন) সকাল থেকে শহরের রূপনগর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে আহ্বান জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।

রূপনগর এলাকার বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘আল্লাহ মরণ রাইখলে এইহ্যানে মরুম, কই যামু। যে বৃষ্টি পড়তাছে, তাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওনের দরকার নাই। আরও বেশি বৃষ্টি হইলে তখন দেখা যাইবো।’

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা ফাতেমা বিবি বলেন, ‘আমরা যেখানে আছি, এইটা ঝুঁকিপূর্ণ না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে যখন বৃষ্টি বেশি পড়বে তখন ঘর থেকে বের হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাব। যে বৃষ্টি পড়ছে তাতে এখন যাওয়ার দরকার নাই।’

স্বেচ্ছাসেবক ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা জানিয়েছেন, ‘এখানকার বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বার বার বলার পরও তারা না আসতে তালবাহানা করছেন।’

যুব রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক রিকু চাকমা বলেন, শনিবার (১৯ জুন) থেকে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয়দের সচেতন করছি একই সঙ্গে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতেও আহ্বান করেও কাজ হচ্ছে না। নিরাপদ স্থানে তাবু তৈরি করা হলেও সেখানেও কেউ আসছেন না।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, ‘ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছি। অনেকে আসছেন, আবার অনেকে আসছে না। বিকেলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে কেউ যদি সরে না আসে তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হবো আমরা।’

এর আগে ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে ১২০ ও ২০১৮ সালে ১১জনের মৃত্যু হয়।