বান্দরবানে বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ২ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি ১২ দশমিক ৫৫ এবং সাঙ্গু নদীর পানি ১৫ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর ফলে প্লাবিত হয়েছে লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বলীবাজারসহ জেলা শহরের কিছু নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে লামা, আলীকদম ও থানচি উপজেলার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ।
এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার লামা-আলীকদম উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারী বর্ষণে বান্দরবানের লামা-আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ডুবে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই দুই উপজেলার লোকজন।
জানা গেছে, সোমবার (২৬ জুলাই) রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে লামা-আলীকদম উপজেলার লাইনঝিরি, শিলেরতুয়া, সিবাতলী, দরদরাঝিরিসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কে পানি উঠায় সকাল থেকে সাধারণ জনগণকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি সংবাদপত্রের গাড়িসহ মোটরসাইকেল আরোহীরা নৌকায় চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের লামা-আলীকদম উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠেছে। আর এ পানিতে সড়কের পাশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। সকাল থেকে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবানের লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, টানা বৃষ্টিতে লামা-আলীকদম সড়কসহ লামা উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে।
