ভারতের নতুন শিল্প নীতিতে বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর
 
                 
নিউজ ডেস্ক
ভারতের নতুন শিল্প নীতিতে বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পরে এই সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সরকার এ বছরের এপ্রিলের শুরুতে উন্মোচিত ‘নতুন শিল্প নীতি ২০২১-৩০’ এই খাতকে আরও গতি দিয়েছে, যা এই অঞ্চলকে বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ‘নতুন শিল্প নীতি ২০২১-৩০’ কার্যকর হওয়ার পরপরই কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা তাকে স্বাগত জানায়। ফেডারেশন চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজ কাশ্মীর (এফসিআইকে) উপত্যকার শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিদের একটি জোট, নতুন নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশা সঞ্চার করেছে।
এফসিআইকে সভাপতি শহীদ কামিলি বলেন, নতুন শিল্প নীতিতে বিভিন্ন নতুন খাতকে ইতিবাচক তালিকা এবং ফোকাস খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সম্প্রসারিত হয়েছে পর্যটন, আতিথেয়তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইত্যাদি খাত।
এফসিআইকে সভাপতি বিভিন্ন স্তরে মামলার অনুমোদনের সময়সীমা নির্ধারণের জন্য সরকারের প্রশংসা করেন। নতুন শিল্প নীতি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এদিন বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসা সমস্ত শিল্প ইউনিট এবং সেইসাথে বিদ্যমান ইউনিটগুলি যথেষ্ট ভালো করছে।
নতুন নীতিতে আগামী ১৫ বছরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের শিল্প উন্নয়নে ২৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রণোদনা। এই নীতিতে বিশেষভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যুগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসে বিনিয়োগ করতে কোনো বাধা নেই।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেদিন থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে, সেদিন থেকে ৪০টিরও বেশি কোম্পানি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং সরকার ১৫০০ কোটি টাকা (১৫ বিলিয়ন টাকা) পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
