চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২১ - Southeast Asia Journal

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২১

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় বেসরকারি বিএম কনটেইনার লিমিটেডের ডিপোতে শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আর মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মী রয়েছেন।শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত।

সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ২১ জন এবং পুলিশের ১০ সদস্য রয়েছেন।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিনজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। সকাল আটটার দিকে (রোববার) তাদের অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন মাগফারুল ইসলাম (৬৫) ও খালেদুর রহমান (৬০)।

বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, তাদের দুজনেরই শরীরের ১২ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে। তাদরকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য ও তার আরেক সহকর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মো. তুহিন। তিনি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কনস্টেবল। তার সঙ্গে একই থানার গুরুতর আহত কনস্টেবল কামরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, ‘১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, বিএম কনটেইনার লিমিটেডের ডিপোতে শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগুনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।