রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় আপত্তি খারিজে হতাশ মিয়ানমার জান্তা
 
                 
নিউজ ডেস্ক
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় আপত্তি খারিজের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। গত শনিবার সামরিক সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই হতাশার কথা জানিয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।
হেগ ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) গত শুক্রবার রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে। এতে করে ২০১৯ সালে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু করতে আদালতে আর কোনও বাধা রইলো না। এতে ২০১৭ সালে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু করতে পারবে আদালত।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক আপত্তি প্রত্যাখ্যান হওয়ায় মিয়ানমার হতাশ।
তারা দাবি করেছে, তাদের যুক্তি ছিল আইনগতভাবে শক্তিশালী। একটি ক্ষেত্রে একজন বিচারকের ভিন্নমত ছিল।
মিয়ানমার আপত্তির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরে দাবি করে, এই ইস্যুতে আইসিজের বিচারিক এখতিয়ার নেই এবং মামলাটি প্রাথমিক পর্যায়েই খারিজ হওয়া উচিত।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের এই আদালতে মিয়ানমারের আপত্তির বিষয়ে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক শোনেন আদালত। নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে আইসিজে সভাপতি বিচারক জোয়ান ই দোনোঘুই রায়টি সংক্ষিপ্তভাবে পড়ে শোনান।
জাতিসংঘের একটি পৃথক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের ফলে পালিয়ে নারী ও শিশুসহ ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অনেকের বাড়িঘর। মারা যান অনেক রোহিঙ্গা। একে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দেয় জাতিসংঘ।
