গার্মেন্টস পণ্যের নামে এসেছে সবচেয়ে বড় অবৈধ মদের চালান
Poznan, Poland - July 27, 2016: Worldwide some 2 billion people use alcohol, one of the most widely used recreational drugs on earth, with yearly consumption of over 6 liters of pure alcohol per person
![]()
নিউজ ডেস্ক
গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশী মদ জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) । এছাড়া চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব বলছে, অবৈধ মদের সবচেয়ে বড় চালান এটি। চক্রটি এর আগেও দুবাই থেকে ৩টি চালানে প্রায় ১৪ হাজার বোতল মদ এনেছে। এসব মদ তারা ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে সরবরাহ করত।
গতকাল শনিবার র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জে আভিযান চালিয়ে মালবাহী দুটি কন্টেইনার জব্দসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যে চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন নাজমুল মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম। এছাড়া তাদের কাছ থেকে কোটি টাকা মূল্যের দেশি ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
এসময় তিনি বলেন, এই মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা আহাদ এবং মিজানুর রহমান আশিক সম্পর্কে সহোদর এবং এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা উভয়ের পিতা আজিজুল ইসলাম। তারা এক বছর ধরে এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা সিঅ্যান্ডএফের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে এই অবৈধ মাদক আমদানি কার্যক্রম করে থাকে।
এই অবৈধ মাদক আমদানির ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাগজপত্র ব্যবহার করে। চক্রটি দেশে টিভি ও গাড়ির পার্টস ব্যবসার আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিপণন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। অবৈধ মাদক বিদেশ থেকে আনার পরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, রাজধানীর বংশাল ও ওয়ারীতে ওয়্যারহাউসে রাখা হয়। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এসব অবৈধ মাদক বিপণন করে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে পরিবহনকৃত কন্টেইনার হতে সরাসরি ক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করে।