দায়িত্ব বুঝে পাননি ভাইস চেয়ারম্যানরাও, হতাশায় পানছড়িবাসী
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
শপথ নেওয়ার দীর্ঘদিন পরেও দায়িত্ব বুঝে পাননি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, এ নিয়ে হতাশা বাড়ছে পানছড়িবাসীর মনে।
জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় নানা চেয়ারম্যান পদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপিডিএফ নেতা ও একাধিক হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী শান্তি জীবন চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চন্দ্র দেব চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিতা ত্রিপুরা বিজয়ী হবার পর গত ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শপথও গ্রহণ করেন তারা। কিন্তু শপথ গ্রহণের পরপরই জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব বুঝে নিয়ে অফিস করা শুরু করলেও এখনো দায়িত্বই বুঝে পাননি পানছড়ির নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় শপথ গ্রহণের পর থেকেই আত্নগোপনে আছেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। শান্তি জীবন চাকমার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজী এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের কারণে খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুইটি মামলা নং ০৪, তারিখ ০৭ মার্চ ২০১৮, ধারা ১৪৭/১৪৮/৩৩২/১৪৯/৩০৭/৩৩৩ এবং মামলা নং ০৭ তারিখ ২১ মার্চ ২০১৮ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩৪১/৪৩৫/৪২৭ এবং পানছড়ি থানায় একটি মামলা নং ০১ তারিখ ০৯ ফেব্রুযারি ২০১৯ ধারা ৩০২/৩৪ সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
এছাড়া অতীতে শান্তি জীবন চাকমার বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতা ও প্রসীত পন্থি ইউপিডিএফ সংশ্লিষ্টতা জনমনে এক ভীতির সঞ্চার করেছে।
১৯ মে থেকে অফিস করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বুঝে পাননি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যা নতুন করে পানছড়িবাসীকে হতাশায় ফেলেছে।
ভাইস চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের কাছে বারবার এ বিষয়ে তাগাদা দিলেও দায়িত্ব বুঝে পাননি তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, “এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না, যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন তাদের সাথে কথা বলুন।”
এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্খানীয়রা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা কি পারবেন দায়িত্ব গ্রহণ করে উপজেলাকে উন্নয়নে শরিক করতে? নাকি সাধারণ জনগণকে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির স্বীকার হতে বাধ্য করবেন?
