পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজদের ঐক্যবন্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে- দীপংকর তালুকদার
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান রাঙামাটির কাপ্তাই সীতাঘাট শ্রীশ্রী মাতা সীতা মন্দিরে মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত সনাতনী সম্প্রদায়ের ভক্তরা ঐতিহাসিক কর্ণফুলি নদীতে স্নান, সীতা মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির, কালি মন্দিরে পুজা দেওয়া এবং মহাপ্রসাদ গ্রহনের মাধ্যমে মা সীতা দেবীর কাছে তাদের মনের বাসনা ব্যক্ত করেছেন।
মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২ টায় মন্দির প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্প্রর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সনাতন সম্প্রদায় সহ সকল ধর্মের মঠ মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজ এই পার্বত্যঞ্চলকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চাই সবসময়। তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবন্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।
সীতা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ এর সভাপতিত্বে কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, রাঙমাটি জেলা পূজা উদযাপন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক অমলেন্দু হাওলাদার, কাপ্তাই উপজেলার আওয়ালীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল ওহাব, কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শফিউল আজম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী, কাপ্তাই জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুর্বণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি রাঙামাটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীতারঘাট মন্দির কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
