দেড় মাস ডুবে থাকার পর সচল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
 
                 
নিউজ ডেস্ক
দেড় মাস ডুবে থাকার পর ফের সচল হয়ে উঠছে রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতু। সদ্য বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর তলিয়ে যায় সেতুটি। এতে সেতু দিয়ে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় জেগে ওঠেছে সেতুটি। তবে এখনো প্রায় এক ফুট পানিতে তলিয়ে আছে। ২-৩ দিনের মধ্যেই হাঁটাচলা করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার থেকেই পাটাতনের মেরামত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।
জানা যায়, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে অবস্থিত আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি প্রতি বছর বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে তলিয়ে যায়। এতে সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে প্রতি বছর ১০-১২ লাখ টাকা রাজস্ব হারায় সরকার। সেতুটির উচ্চতা বাড়িয়ে উন্নত বা পৃথক আরেকটি আধুনিক সেতু নির্মাণ করা গেলে এসব রাজস্ব হারাতে হতো না বলে জানান রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।
তিনি জানান, এ বছরও কাপ্তাই হ্রদের পানিতে সেতুটি টানা দেড় মাস ডুবে থাকায় থাকায় ৮-১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। প্রতি বর্ষায় সেতুটি পানিতে ডুবে থাকাকালে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ থাকে। সেতুটি সচল থাকলে সেখানে পর্যটক প্রবেশে দৈনিক ১০-১৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় আসে।
জানা যায়, ১৯৮০ সালে সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। ১৯৮৬ সালে জেলা সদরে সরকারি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স স্থাপন করা হলে সেখানে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুটি পাহাড়ের সংযোগ স্থাপনে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর সেতুটি দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে এটি দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এ ঝুলন্ত সেতুর পূর্বদিকে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশিসহ রয়েছে ছোটবড় নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়মালা।
