টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যার মূল ২ আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত - Southeast Asia Journal

টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যার মূল ২ আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্কঃ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), নয়টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডুর সব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও একই জেলার রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। তারা দুইজনই টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ফারুক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল (৯৩২১) লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশও পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুর শুক্কুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), নয়টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসাও উদ্ধার হয়।

ওসি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ মুহাম্মদ শাহ ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। শনিবার ভোরে তাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।