বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদ করায় শিক্ষককে অব্যাহতি - Southeast Asia Journal

বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদ করায় শিক্ষককে অব্যাহতি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালীদের অধিকারের কথা বলায় ও উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় চাকরি হারিয়েছে বান্দারবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল কদুখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ। তিনি পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা শাখার আহবায়ক।

জানা যায়, আজ (২৪ আগষ্ঠ) সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং উক্ত বিদ্যালয়ের ২য় তলা উদ্বোধন শেষে একটি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। ঐ কক্ষে পাঠদানরত শিক্ষক মিজানুর রহমানকে দেখে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক পার্বত্য মন্ত্রীকে শিক্ষক মিজানুর রহমানের প্রতি নেতিবাচক ভাষা ব্যবহার করে বলেন, ” বান্দরবানে আন্দোলন সংগ্রামের সব কল-কাঠি এবং নাটের গুরু হল এই শিক্ষক, এই শিক্ষককে এই স্কুলে চাকরি করতে দেয়া যাবে না”। তার কথা শুনে মন্ত্রী বীর বাহাদুর সাফ জানিয়ে দেন “বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ করলে এই শিক্ষক এখানে চাকরি করতে পারবে না এবং আমি তাকে সেখানে চাকরি করতে দিবো না। এরকম অনেক স্কুলের অনেক জনের এমপিও আমি বন্ধ করে দিয়েছি এটা সাম্প্রদায়িকতা।”

এ সময় আওয়ামীলীগের সকল সিনিয়র জেলা নেতৃবৃন্দ এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের আহবায়ক ও শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, আমি পাহাড়ে সম্প্রীতি রক্ষার কথা বলি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলি। গত কিছুদিন আগে আওয়ামীলীগের নেতা চথোয়ায় মং মারমাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় একমাত্র আমিই বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেছিলাম এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আমি পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সদা প্রতিবাদ করে আসছিলাম, দুঃখের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার কাছে কোন পাহাড়ি-বাঙালি পার্থক্য নেই, সবাই আমরা একই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। তিনি আরো বলেন, চাকরি কোন বিষয় নয়। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতেছি, কথা বলব এবং সত্য সবার সামনে উপস্থাপনের সদা সচেষ্ট থাকবো এর জন্য শুধু চাকরি নয় জীবনও দিতে হতে পারে। নির্দিষ্ট একটা সম্প্রদায় সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে বাকিরা বঞ্চিত হবে তা হতে পারে না।

তবে এ বিষয়ে এখনো উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।