কাপ্তাই হ্রদের লঞ্চে যোগ হচ্ছে দ্রুতগামী ইঞ্জিন - Southeast Asia Journal

কাপ্তাই হ্রদের লঞ্চে যোগ হচ্ছে দ্রুতগামী ইঞ্জিন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

নৌ-পথে রাঙামাটির উপজেলার সাথে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে যুক্ত হচ্ছে দ্রুত গতির ইঞ্জিন।

সোমবার (২৬ আগষ্ট) এমএল শামীম নামের একটি
লঞ্চে এই ইঞ্জিন সংস্থাপনের কাজ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা। এই ইঞ্জিন স্থাপনের ফলে আগে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা যেতে যে লঞ্চ সাড়ে চারএ থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগতো তা এখন
সাড়ে তিন ঘন্টায় নেমে আসবে বলে জানান তারা।

পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটি জেলার ছয় উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম পানিপথ। স্বাধীনতার পর থেকে জেলার দুর্গম এই উপজেলাগুলোতে পানি পথে লঞ্চ বা বোটে করে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়
উপজেলাবাসীদের। এমনও উপজেলা আছে যেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে ৫ ঘন্টা। যেখানে দিনে গিয়ে দিনে ফেরাও যায় না।

প্রতিদিন রাঙামাটির বিভিন্ন রুটে প্রায় ৫০টি লঞ্চ চলাচল করে। এমন অবস্থায় গত বছর থেকে জনপ্রিয়তা বাড়ছে স্পীড বোর্ড। যার ভাড়াও লঞ্চের
চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তারপরও সময় বাঁচাতে ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পেশাজীবিদের কাছে প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই স্পীড বোর্ড। স্পীড বোর্ডের কারণে যাত্রী কমছে লঞ্চের- এমন দাবি করছে এ ব্যবসায় সাথে সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে স্পীড বোর্ড বন্ধের দাবিকে লঞ্চ মালিকরা, লঞ্চ ধর্মঘটও ডেকে ছিলেন।

এমতাবস্থায় রাঙামাটির লঞ্চগুলোতে দ্রুত গতির ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। এই ইঞ্জিন লাগানোর ফলে মারিশ্যা যেতে যে লঞ্চ সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগতো সে লঞ্চ এখন সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে পৌছাতে পারবে বলে ধারণা করছেন ইঞ্জিন সংস্থাপন কাজে নিয়োজিত লঞ্চ শ্রমিক মো. সোহেল। এই ইঞ্জিনের মাধ্যমে যে সময় সাড়ে তিনঘন্টা ধরেছি সেখানে আমরা আরো দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে পারবো। চেকপোষ্টগুলোতে প্রায় একঘন্টা সময় ব্যয় হয় আর কাট্টলীর পর থেকে খাল ছোট আর এলাকার লোকজন সে পানি নানা কাজে ব্যবহার করে। সেখান দিয়ে যদি স্পীডে যায় প্রচুর ঢেউ সৃষ্টি হবে যার কারণে
সে পথে ধীর গতিতে যেতে হবে। না হলে আরো দ্রুতই পৌছানো যেত বলে জানান শ্রমিকরা।

অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, আমরা উপজেলাগুলোতে যাত্রীদের দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে লঞ্চগুলোতে দ্রুত গতির। ইঞ্জিন লাগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে একটিতে সংস্থাপন হয়েছে। বিরতিহীন সার্ভিস এমএল শামীমে এই ইঞ্জিন
সংস্থাপনের কাজ চলছে।