স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রত্যাহার!
 
                 
নিউজ ডেস্ক
স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ সিআইসি শামীমুল হক পাভেলকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ের একটি আদেশে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) এর দায়িত্বে নিয়োজিত শামীমুল হক পাভেলকে প্রত্যাহার করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে তিনি উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া ৩/৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া ৩-৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ শামীমুল হক পাভেলকে বদলি করা হয়েছে ঢাকায়। সেখানে বিমানবন্দর এক্সটেনশনের উপ-প্রকল্প পরিচালক পদে তাকে বদলি করার কথা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু জানি না।’’ ‘‘শুনেছি ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষ করে গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করার অনুমতির একটি আবেদনের বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু জানান নি। তবে তার বদলির আদেশে সে বিষয়ে কিছু লেখা নেই।’’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, শামীমুল হক পাভেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্যাম্পকে ঘিরে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। গত ২৫ আগস্ট উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুরছড়ায় রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এজন্যই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ, ওইদিন রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ সমাবেশের অনুমতির নিতে ‘সিআইসি’ শামীমুল হক বরাবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, আবেদনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই সমাবেশের মৌখিক অনুমতি দেন তিনি। মূলত এ কারণেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অবশ্য, এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছেন শামীমুল। তিনি বলেছেন, ‘‘অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করে এসেছি। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন আমার কাছে নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবে কেউ আবেদন নিয়ে আসলে সেটি গ্রহণ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি সেটি গ্রহন করে ৩-৪ ঘণ্টার ভেতর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছুই বলেননি। তাই আমিও রোহিঙ্গাদের অনুমতির বিষয়ে কিছু বলেনি। এরই মাঝে রোহিঙ্গারা সমাবেশ করে। এর বেশি কিছু না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই বছর ধরে চাকরি করছি। নিয়ম অনুযায়ী আমাকে বদলি করা হয়েছে। অফিস যখন চাইবে, তখনই চলে যাব। দোয়া করবেন।’’
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, ‘‘শুধু পাভেলই নন, একসঙ্গে ৭ জন সিআইসিকে বদলি করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ীই তাদের বদলির আদেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গাদের সমাবেশের কারণে তাকে বদলি করার বিষয়টি সত্য নয়।’’
