রোহিঙ্গা গণহত্যায় ‘কোর্ট মার্শালের’ ঘোষণা সেনাবাহিনীর
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনে সেনাবাহিনীর ব্যাপক নির্যাতনে রোহিঙ্গা গণকবর এবং নৃশংসতা নিয়ে তদন্তে নতুন তথ্য পাওয়ার পর জড়িত সেনা সদস্যদের সামরিক আদালতে বিচার তথা ‘কোর্ট মার্শালের’ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শনিবার (৩১ আগষ্ট) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে দেয়া একটি ঘোষনায় বলা হয়, তদন্তে দেখা গেছে রাখাইনের গু দার পিয়ান গ্রামে নির্দেশনা অনুসরণের দুর্বলতা ছিল সেনা সদস্যদের। এসব সেনা সদস্যদের সামরিক বিচার ব্যবস্থার অধীনে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হবে। তবে কতজন সেনা সদস্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে বা কবে এই কোর্ট মার্শাল অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
২০১৮ সালের ফেব্রয়ারিতে বার্তা সংস্থা এপি’র একটি প্রতিবেদনে রাখাইনের বুথিডং পৌরসভার গু দার পিয়ান নামের ওই গ্রামটিতে রোহিঙ্গাদের অন্তত পাঁচটি গণকবর রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে তখন মিয়ানমার সরকার গ্রামটিতে কোনো গণকবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল। সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেখানে লড়াইয়ে ১৯ জন জঙ্গি মারা গেছে এবং তাদের যথা নিয়মে কবর দেয়া হয়েছে। গত শনিবারই সেনাবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে গ্রামটিতে সেনাদের নির্দেশ ঠিকমত পালন না করার কথা জানাল। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
ওয়েবসাইটে দোষী সেনাদের কোর্ট মার্শালের ঘোষণা আসার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স টেলিফোনে তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে সেনা মুখপাত্র তুন তুন নেই বলেন, এ তদন্ত প্রতিবেদন অত্যন্ত গোপনীয়। “ওটা সম্পর্কে জানার এখতিয়ার আমাদের নেই। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে এ বিষয়ে আরকটি বিবৃতি দেওয়া হবে।”
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ তোলার ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্তে গত মার্চে একজন মেজর-জেনারেল ও দুইজন কর্নেলের সমন্বয়ে ওই সামরিক আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত কাজে গত দুই মাসে তারা দুই বার রাখাইনে গেছেন।
