পাকুয়াখালী হত্যার তদন্ত ও খুনিদের বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন - Southeast Asia Journal

পাকুয়াখালী হত্যার তদন্ত ও খুনিদের বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে লংগদু পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সিনিয়র সহ- সভাপতি মোঃ শাহজাহান, সহ সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, শান্তি চুক্তির আগে এ গণহত্যা চালিয়েছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। কিন্তু চুক্তির পরও এ হত্যাকান্ড তারা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু চুক্তি করা হয়েছিল পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সশস্ত্র কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য।

এঘটনার ২২ বছরেও উপজাতি সন্ত্রাসীদের দৌরত্ব কমেনি। উল্টো তারা এখন আরও সক্রিয়। এসময় সংগঠনের নেতারা রাঙামাটি লংগদুর ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ডসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পুর্ণবাসনসহ ৯ দফা দাবী তুলে ধরে আরও বলেন, অবিলম্বে সরকার যদি এসব উপজাতি আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পার্বত্যবাসি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সংগঠনটির নেতারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টম্বর, তৎকালীন শান্তিবাহিনী নামে একটি উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ রাঙামাটি লংগদু উপজেলার ৩৫ জন কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে। সে থেকে এ দিনটিকে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ ‘পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস’ নামে পালন করে আসছে।