পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি আর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সর্বদা আন্তরিক- বাসন্তী চাকমা
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী নদীর ভাঙ্গনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ৩০৯ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এমপি বাসন্তি চাকমা। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই নদীর ভাঙ্গনের অংশে ব্লক বসিয়ে ভাঙ্গন রোধ করার ব্যবস্থ করা হবে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় তার সাথে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রোকন উদৌল্লাহ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরীবিক্ষণ ও বাস্তবায়ন অধি শাখার উপ-সচিব মোঃ মমিনুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন সার্কেল-৪ এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাউসার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশলী খ.ম জুলফিকার তারেক, খাগড়াছড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল আবছার আজাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে শান্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ নালটাকা বৌদ্ধ বিহারে পৃথক পৃথক সভায় তাকে সংবর্ধনা ও দেওয়া হয়। সভায় বাসন্তী চাকমা বলেন, প্রধাণমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা হচ্ছেন তিন পার্বত্য জেলার ’মা’। তাঁকে আমরা পাহাড়ের ‘মা’ হিসেবে ডাকি। তাঁর কারণেই পাহাড়ে শান্তি চুক্তি হয়েছে। তাই পাহাড়ের প্রতিটি কোনায় কোনায় আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি আর উন্নয়নে তিনি সর্বদা আন্তরিক। তিনি আরো বলেন, লোগাং, চেঙ্গী নদী ও ছড়ার ভাঙ্গন রোধে পৌনে নয় কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পানছড়ি উপজেলার নদী ও ছড়ার ভাঙ্গনে কোনো পরিবার যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই আমরা ভাঙ্গন পরিদর্শনে এসেছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমিন, লতিবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় চাকমা, উল্টাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কিরণ কিশোর ত্রিপুরা, নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিশ দত্ত চাকমা প্রমূখ।
তিনি পানছড়ি উপজেলা মহামুনি বৌদ্ধ বিহারটি, শান্তিপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, পানছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা, লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি ছড়ার ভাঙ্গন ও দক্ষিণ নালকাটা বৌদ্ধ বিহারটি নদীর ভাঙ্গনের বিলীন হয়ে যাওয়ার ভাঙ্গন চিত্র পরিদর্শন করেন।