সংস্কারের নামে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে

সংস্কারের নামে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে

সংস্কারের নামে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

সৈয়দ ইবনে রহমত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
হয়তো জ্ঞানী-গুণী মনে করেই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান করেছিল প্রথমআলো গ্রুপের কামাল আহমেদকে।
কিন্তু দেশে তথাকথিত ‘আদিবাসী এজেন্ডা’ বাস্তবায়নকারীদের সোল এজেন্ট প্রথমআলো গ্রুপের হয়ে যে প্রতিবেদন আজ জমা দিয়েছেন তাকে গণমাধ্যম কমিশনের প্রতিবেদন বলার চেয়ে ‘আদিবাসী কমিশনে’র প্রতিবেদন বলাই যুক্তিযুক্ত হবে।
‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার আমাদের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করবে, এই ‘আদিবাসী’ শব্দ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে পশ্চিমাদের অন্যতম হাতিয়ার। এটা উনার ভালো করেই জানা আছে, তারপরও তিনি জেনে শুনেই ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার করে বাংলাদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন। এই কারণেই বলে ‘দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য’।
এই দুর্জনদের রুখতে হবে, সংস্কারের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বন্ধ করতে হবে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ, আপনার ফেসবুক আইডি থেকে এই কমিশনের প্রতিবেদন সরিয়ে নিন, সংশোধন করে ‘আদিবাসী’ শব্দের বিকল্প ব্যবহার করুন। তারও আগে এই কমিশন প্রধানকে বরখাস্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
কেননা, গত কয়েকদিন আগে এই ‘আদিবাসী’ শব্দ পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করা নিয়ে কী হয়েছে, তা সকলের জানা আছে। তারমধ্যেও এই লোক জনগণের ট্যাক্সে টাকায় গঠিত কমিশনের মাধ্যমে দেশে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। ‘আদিবাসী’ শব্দের স্বীকৃতির পাঁয়তারার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র করেছে। এটাকে লঘু দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
গ্রামে একটি কথা প্রচলিত আছে, এক মণ দুধ নষ্ট করতে এক ফোঁটা চনাই যথেষ্ট। তেমনি এই বিশাল সংস্কার প্রস্তাবটিও সেইভাবে নষ্ট করা হয়েছে এই একটি মাত্র বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করার মাধ্যমে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, এই ব্যাপারে যদি আপনি দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাতে শুধু এই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনই নয়, বরং আপনার সকল সংস্কার কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দেশের মানুষ ভাববে, সংস্কারের নামে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নই আপনার সরকারের লক্ষ্য। এই কলঙ্ক আপনার সরকারের উপর আপতিত হোক, সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না।
অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নিন এবং দেশের মানুষকে আশ্বস্থ করুন, আপনার সরকার এই দেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত নয়।
-লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।