রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সশস্ত্র দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে তিনজন নিহত
 
                 
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে গত ২২ অক্টোবর স্থানীয় হেডম্যান দ্বীপময় তংচঙ্গ্যাকে অপহরণের পর ২৩ অক্টোবর হত্যার ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় ফের পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও তৎকালীন শান্তিবাহিনী প্রধান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সশস্ত্র দুটি গ্রুপের মধ্যকার গোলাগুলিতে তিন উপজাতি সন্ত্রাসী নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজস্থলী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে গাইন্দ্যা ইউনিয়নের বালুমুড়া এলাকায় জেএসএস’র দু্ইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীদের দুটি গ্রুপই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে তল্লাশী চালিয়ে গোলাগুলিতে নিহত তিন সন্ত্রাসীর মরদেহ শনাক্ত করে নিরাপত্তাবাহিনী। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহমদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এলাকাটি গহীন জঙ্গলে হওয়ায় লাশ উদ্ধার করতে প্রায় মধ্যরাত হয়ে গেছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর রাজস্থলীর ৩৩৩ নং ঘিলাছড়ি মৌজার হেডম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান দীপময় তালুকদারকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পর দিন ২৩ অক্টোবর উপজেলার জিরো মাইল এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ হতে তখন সন্তু লারমার জেএসএসকে দায়ী করা হয়েছিল।
