ভারতের ত্রিপুরায় ১৩ জন জেএসএস সন্ত্রাসী আটক, পুশব্যাকের প্রস্তুতি
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জনসংহতি সমিতি- জেএসএস এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আগরতলার আমতলী থানাধীন একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে দুজন নারী এবং ১১ জন পুরুষ রয়েছেন। ত্রিপুরা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন জনসংহতি সমিতির সক্রিয় সদস্য। বাকিরা তাদের সহযোগী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসার অজুহাতে তারা প্রায় সাত-আট মাস ধরে ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন। মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে আবার আসতেন।
তবে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এরা সবাই সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস (মূল) গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য এবং সম্প্রতি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন। সেই ঘটনার পরই তারা ভারতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন।
বুধবার তাদের আমতলী থানা থেকে বের করার সময় দেখা যায়, অনেকের শরীরে ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা সংঘর্ষে আহত হওয়ার তথ্যকে আরও জোরালো করে।
আটকদের আদালতে না তুলে সরাসরি ত্রিপুরা পুলিশের মোবাইল টাস্কফোর্সের হাতে হস্তান্তর করা হয়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাদের দ্রুত বাংলাদেশে পুশব্যাক (জোরপূর্বক ফেরত) করার প্রক্রিয়া চলছে এবং রাতেই সম্পন্ন হতে পারে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রতিবেশী দেশের মাটিকে বারবার নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছে। বিষয়টি দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরকারি সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে সমন্বিত তৎপরতা চলবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।