সুপ্রদীপ-কংকনের অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন: তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার অবরোধের হুমকি

সুপ্রদীপ-কংকনের অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন: তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার অবরোধের হুমকি

সুপ্রদীপ-কংকনের অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন: তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার অবরোধের হুমকি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এবং যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণ দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় লাগাতার সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধের হুমকি দিয়েছেন মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে ‘সচেতন মারমা ও ত্রিপুরা সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মুখপাত্র রুমেল মারমা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, সুপ্রদীপ চাকমা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বরাদ্দ ও প্রকল্প বণ্টনে চরম বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতির পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দফায় বিতরণ করা দুই হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়কে দেওয়া হয়েছে ১,৮৯২ মেট্রিক টন, যেখানে মারমা পেয়েছে মাত্র ১০২ মেট্রিক টন এবং ত্রিপুরা মাত্র ৬৬ মেট্রিক টন। এছাড়া বাঙালি ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ২১৩ মেট্রিক টন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সর্বশেষ বরাদ্দে মামলার এজাহারভুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামেও বিশাল পরিমাণ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজাই মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন বিকাশ ত্রিপুরা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরাকে ৪২ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে, পার্বত্য এলাকার প্রকল্প ও বরাদ্দগুলো ন্যায্যভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু টাস্কফোর্সসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সূর্য কিরণ ত্রিপুরা (কার্বারী), প্রশান্ত ত্রিপুরা, মোচাই মারমা, উক্রাচিং মারমা, সীমা ত্রিপুরা ও তনয় ত্রিপুরা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি বরাদ্দ ও প্রকল্প বণ্টন নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। চাকমা সম্প্রদায়পন্থী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একচেটিয়া সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ বারবার উঠছে, যা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সমতার প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।