সীমান্তে মেধাবী শিক্ষার্থী ও মাইন বিস্ফোরণে আহতদের পাশে দাঁড়ালো ১১ বিজিবি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার দুপুরে ১১ বিজিবির উদ্যোগে ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের মিলনায়তনে এক মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে আহত ব্যক্তি, মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দরিদ্র অসহায় পরিবারের মাঝে আর্থিক ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস। তিনি আহতদের হাতে নগদ অর্থ এবং শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুলব্যাগ, খাতা, কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।
বক্তব্যে জোন অধিনায়ক বলেন, “আমাদের সীমান্তরক্ষীরা নিরলসভাবে কাজ করছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায়। কিন্তু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন আমাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ না বুঝে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে প্রাণহানির মুখে পড়ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারা নয়, মানুষের পাশে থাকার জন্যও বদ্ধপরিকর।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১১ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আশিক ইকবাল, সহকারী পরিচালক (এডি) আল-আমিনসহ বিজিবির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মাইন বিস্ফোরণে আহত কয়েকজন ব্যক্তি বিজিবির এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় না যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে একাধিক বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যা স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিজিবির এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ জনসচেতনতা ও সহমর্মিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
