স্বজাতির ৫ মারমা যুবক কর্তৃক শিশু ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা, হেডম্যান-কারবারির বিচার দাবি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের রুমায় স্বজাতির ৫ মারমা যুবক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত আসামিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজ।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে ‘বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভা করেন।
বক্তারা বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার ও ধর্ষণের ঘটনাকে সামাজিক সালিশির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী পাড়ার কারবারি, হেডম্যান, ও ওয়ার্ডের মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে চনুমং মারমা বলেন, ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনাকে সামাজিক সালিশির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট উম্যাচিং মারমা, ডলুপাড়ার মেম্বার চাইউগ্য মার্মা, তংপ্রু পাড়ার কারবারি অংচ মার্মাসহ শতাধিক নারী-পুরুষ।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, পাঁচজনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীকে ক্যসাইওয়াং মার্মা, ক্যহ্লাওয়াং মার্মা, উহাই সিং মার্মা ও পলাতক চহাই মং মার্মা ভয়ভীতি দেখিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে সেগুন বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে শিক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে চলে যান ধর্ষকরা।
পরবর্তীতে ৯ আগস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হোস্টেলে অবস্থানকালে অপর পলাতক আসামী ক্যওয়াংসাই মার্মা (২০) হোস্টেল কক্ষে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হোস্টেলের অপর একটি কক্ষে আবারও ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে হেডম্যান পাড়ার কারবারি, হেডম্যান ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার বিচার বসায়। বিচারে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। জরিমানার সেই ৫০ হাজার টাকাও বাকি রাখে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
