রাঙামাটিতে গৃহহীন ২০ পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল সেনাবাহিনী

রাঙামাটিতে গৃহহীন ২০ পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল সেনাবাহিনী

রাঙামাটিতে গৃহহীন ২০ পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল সেনাবাহিনী

ছবি- চ্যানেল টুয়েন্টিফোর।

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দেশের দুর্গম পার্বত্য জনপদে শুধু শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই নয়, মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রাঙামাটি রিজিয়নের জুরাছড়ি জোনের উদ্যোগে গৃহহীন ও অসহায় ২০ পরিবারের মাঝে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জুরাছড়ি জোন সদরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গৃহহীন এসব মানুষের মাঝে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ হাসান সেজান।

রাঙামাটিতে গৃহহীন ২০ পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল সেনাবাহিনী

অনুষ্ঠানে মেজর মুশফাক আমিন চৌধুরী, মেজর ফয়সাল মাহমুদ অনিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বায়েজীদ বিন আখন্দ, বনযোগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, হেডম্যান, কার্বারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

শুধু ঘর নয়, স্থানীয় নারীদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য সেলাই মেশিন, হাঁসের ঘর ও হাঁস বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ১২টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হয়।

রাঙামাটিতে গৃহহীন ২০ পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিল সেনাবাহিনী

জানা গেছে, সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে এলাকায় বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেছে, বিশেষ করে চোখের ছানি ও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের চিকিৎসা ও সহায়তা দিয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

জোন অধিনায়ক তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠাতেই নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, স্বনির্ভরতা অর্জন এবং সামাজিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। মানবিক সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় জনগণ সেনাবাহিনীর এই মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম চলমান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।