সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগ: দুর্গম পাহাড়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেলেন কয়েক’শ গ্রামবাসী
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
চিকিৎসার সেবা বঞ্চিত এই প্রান্তিক মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের দীঘিনালা জোন এই মহতী উদ্যোগ গ্রহন করে।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম পাবলাখালী কৃপাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলা এই ক্যাম্পে তিন শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু ও শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়।
দীঘিনালা জোনের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে এই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এসময় তিনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং ঔষধ বিতরণের পাশাপাশি অন্যান্য সেবা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করেন। এতে দূরদূরান্ত থেকে আগত রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চিকিৎসা ক্যাম্প চলাকালে ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “কৃপাপুর এলাকা দীঘিনালা জোনের অন্যতম দুর্গম অঞ্চল। এখানকার মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা খুবই সীমিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিতভাবে এই সকল দুর্গম এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছি, যাতে প্রান্তিক মানুষগুলো তাদের ঘরের কাছেই জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। আমাদের এই মানবিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৫৫ বছর বয়সী নন্দন চাকমা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে হাঁটু ও বুকের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলাম। আজ সেনাবাহিনীর ডাক্তার দেখিয়ে বিনামূল্যে ঔষধ পেয়েছি। আশা করি এতে আমার অনেক উপকার হবে। এমন সেবার জন্য আমি সেনাবাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
আরেক সেবাগ্রহীতা লক্ষ্মী চাকমা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আগে অসুস্থ হলে সহজে ভালো চিকিৎসার সুযোগ পেতাম না। আজকের এই মেডিকেল ক্যাম্প আমার মতো এই এলাকার আরও অনেক মানুষের জন্য আশীর্বাদের মতো। সেনাবাহিনীর এমন মহৎ উদ্যোগ যদি নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয়, তাহলে আমরা আরও বেশি উপকৃত হব।”
স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা সেনাবাহিনীর এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা এই জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।