ডাকসু ও হল সংসদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষার্থী

ডাকসু ও হল সংসদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষার্থী

ডাকসু ডাকসু নির্বাচনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক জয়, ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির অভিনন্দনও হল সংসদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষার্থী
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি, জিএস, দুই কার্যনির্বাহী সদস্য এবং হল সংসদে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে মোট পাঁচজন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিতরা হলেন—ডাকসুর ভিপি পদে খাগড়াছড়ির সন্তান সাদিক কায়েম, জিএস পদে রাঙামাটির এস এম ফরহাদ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাঙামাটির সর্ব মিত্র চাকমা ও খাগড়াছড়ির হেমা চাকমা এবং জসীম উদ্দিন হল সংসদে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে খাগড়াছড়ির কামরুল হাসান।

ডাকসুর ভিপি নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী’ জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

একই জোট থেকে এস এম ফরহাদ হোসেন জিএস পদে ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাঙামাটির সর্ব মিত্র চাকমা ৮ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ডাকসুর ১৩ সদস্য পদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী।

অন্যদিকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনসমূহের প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল থেকে খাগড়াছড়ির পানছড়ির মেয়ে হেমা চাকমা ৪ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হন।

এছাড়া খাগড়াছড়ির কামরুল হাসান কবি জসীম উদ্দিন হল সংসদে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন।

ডাকসু ও হল সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামের একাধিক শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পার্বত্যবাসী। তারা আশা করছেন, দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে দায়িত্ব পালন করে পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত হওয়ায় নিঃসন্দেহে এটি পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অনুপ্রেরণার বিষয়। তারা সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করলে পাহাড়ে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে, সংকীর্ণতা দূর হবে।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।