পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ‘সিএইচটি সম্প্রীতি জোট’র
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা ও প্রতিবেশী ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন ‘সিএইচটি সম্প্রীতি জোট’।
রবিবার (৫ অক্টোবর) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি পাহাড়ে চলমান সহিংসতা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী প্রচারণা বন্ধে সরকারসহ সাধারণ জনগণকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও দীর্ঘদিন ধরে কিছু দেশি–বিদেশি অপশক্তি এসব অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। সংগঠনটির দাবি, ইউপিডিএফ ও জেএসএস–এর মতো সংগঠনগুলো প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
‘সম্প্রীতি জোট’ অভিযোগ করে, এসব সংগঠন পাহাড়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে শান্তি–শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনী ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য এলাকায় প্রতিনিয়ত গুম, হত্যা ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। বছরে কোটি কোটি টাকা আদায় করে অস্ত্র কেনা হচ্ছে, আর অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে “জুম্মল্যান্ড” নামের একটি কাল্পনিক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করছে।
সংগঠনটি পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরে:
১. জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা: বাঙালির মধ্যে বিভেদ নিরসন ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
২. বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রতিহত: বিদেশি প্রভাবিত সংগঠনের তৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
৩. সীমান্ত নিরাপত্তা: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ও নজরদারি বৃদ্ধি।
৪. উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়ন জোরদার করা।
৫. সেনাবাহিনীর ভূমিকা: পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন ও পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো।
৬. জাতীয় পরিচয়ের ওপর জোর: ‘আদিবাসী’, ‘উপজাতি’ বা ‘জুম্ম’ প্রভৃতি পরিচয়ের পরিবর্তে জাতীয় পরিচয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা।
সংগঠনটির মুখ্য সমন্বয়ক পাইশিখই মারমা বলেন, “বাংলাদেশ একটি অভিন্ন রাষ্ট্র। জাতিগত, ধর্মীয় বা আঞ্চলিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতপন্থী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে যে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যা চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সরকার ও জনগণকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন মুখ্য সমন্বয়ক পাইশিখই মারমা এবং অন্যান্য সমন্বয়ক ইখতিয়ার ইমন, জাফরুল হাসান (ফ্রান্স), থোয়াইচিং মং শাক, রাকিব হোছাইন নওশাদ ও তনময় হোসেন (নাসির)।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।