সেনাবাহিনীকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: জাহেদ উর রহমান

সেনাবাহিনীকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: জাহেদ উর রহমান

সেনাবাহিনীকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে: জাহেদ উর রহমান
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ঘুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা আটক হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের ভেতরে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা.জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, কেউ কেউ সচেতনভাবেই সেনাবাহিনীকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে—যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

এক বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় ডা.জাহেদ বলেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য ও সংবেদনশীল অঙ্গ। তাদের নিয়ে রাজনৈতিক বা আইনি বিভ্রান্তি তৈরি হলে সেটি শুধুমাত্র বাহিনীর মর্যাদাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ভারসাম্যকেও প্রভাবিত করতে পারে।

তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর ও সেনাবাহিনীর কিছু বক্তব্যের মধ্যে যে টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, “প্রসিকিউশন টিমের কিছু বক্তব্য ও সেনা ব্রিফিংয়ের কিছু অংশ দেখে মনে হয়েছে, দুটি প্রতিষ্ঠান যেন প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এটি রাষ্ট্রের জন্য শুভ সংকেত নয়।

জাহেদ উর রহমান বলেন, আটক সেনা কর্মকর্তাদের ‘গ্রেফতার’ না ‘হেফাজত’—এই বিতর্ককে ঘিরে যে আইনি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা প্রকাশ্যে টানাহেঁচড়া না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ছিল। সাবজেল ঘোষণা করে সরকারের পদক্ষেপ আইনি কাঠামোর মধ্যেই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা সুযোগসন্ধানীদের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।

এই বিশ্লেষক মনে করেন, সেনাবাহিনীর মধ্যে ন্যায়বিচার ও আইন মেনে চলার স্পষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে। “তাদের দিক থেকে কোনো বেআইনি দাবি আসেনি। বরং তারা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

জাহেদ উর রহমান সরকারকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সময়ে সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হলে তা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তাই যেকোনো বিভ্রান্তি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

তিনি বলেন, বিচার হোক, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়—এই নীতিতে স্থির থাকতে হবে। সেনাবাহিনীর মর্যাদা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা করেই ঘুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।