যুদ্ধ সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অরুণাচলে ভারতীয় সেনা-বিমানবাহিনীর বৃহৎ যৌথ মহড়া
![]()
নিউজ ডেস্ক
উচ্চ হিমালয় অঞ্চলজুড়ে বহু-মাত্রিক যুদ্ধ সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ আকারের যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এ মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো দুই বাহিনীর সমন্বিত অভিযান দক্ষতা ও নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতা মূল্যায়ন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩ কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং অভিজিৎ এস পেণ্ডারকার মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারী সব ইউনিটের সমন্বয়, প্রস্তুতি এবং যুদ্ধ-সক্ষমতার উচ্চ মানের প্রশংসা করেন।
১০ নভেম্বর শুরু হওয়া এ মহড়ায় উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি—ড্রোন, হেলিকপ্টার, মহাকাশনির্ভর প্ল্যাটফর্ম এবং বিশেষ বাহিনী—ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তব পরিস্থিতি অনুকরণ করে সীমান্ত অঞ্চলে লক্ষ্য শনাক্তকরণ ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদানের অনুশীলন করা হচ্ছে। মহড়াটি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

গৌহাটি-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মহেন্দ্র রাওয়াত জানান, নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলো যৌথ ফায়ারপাওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।
এতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, মাঝারি বিশালার্টিলারি, সশস্ত্র হেলিকপ্টার, স্বর্ম ড্রোন, লয়টারিং মিউনিশন ও ‘কামিকাজে’ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে—যেগুলো ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়েছে।

এর আগে গত বছর নভেম্বরের ‘পূর্বী প্রহার’ এবং চলতি বছরের মার্চ মাসের ‘প্রচণ্ড প্রহার’ মহড়ার মতো এ মহড়াটিও আর্মি ও এয়ার ফোর্সের সমন্বিত আকাশ-স্থল অভিযান দক্ষতা যাচাইয়ের ধারাবাহিক অংশ।
রাওয়াত আরও জানান, বর্তমান মহড়ার মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনা, কমান্ড কাঠামো এবং সেনা-বিমানবাহিনীর নজরদারি ও ফায়ারপাওয়ার সম্পদের সমন্বিত ব্যবহার নিরীক্ষা করা হচ্ছে—যা ভবিষ্যতের যেকোনো সংঘাত পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদারের অংশ হিসেবেই এ ধরনের মহড়া নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।