সেনাবাহিনীর আশ্বাস- ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি ও নিরাপত্তায় আমরা আছি আপনাদের পাশে’
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল বান্দরবান সদর উপজেলার হেব্রন পাড়ায় বম জনগোষ্ঠীর ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান চার্চ (ইসিসি)-এর প্রথম বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ উপলক্ষে।
আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান।
অনুষ্ঠানে ধর্মযাজক, কারবারী ও স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে রিজিয়ন কমান্ডার বম জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করে বলেন, সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে সকল জাতি, ধর্ম ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিরাপত্তা, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, সেনাবাহিনী কখনও কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না; বরং শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বান্দরবানে ধর্মীয় বা জাতিগত কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই বলে রিজিয়ন কমান্ডার স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন।
একই সঙ্গে তিনি জানান, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নিজ গ্রাম ছেড়ে মিজোরামে পালিয়ে থাকা ৪৮১ জন বম জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে নিজ নিজ পাড়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।” তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ধর্মযাজক, কারবারী ও বম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সেনাবাহিনীর মানবিক কার্যক্রমের উচ্চ প্রশংসা করেন। তারা জানান, পাহাড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি তাদের জন্য নিরাপত্তার প্রতীক, এবং পালিয়ে থাকা বম সম্প্রদায়ের সদস্যদের ফেরত আনতে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগ স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর আস্থা আরও সুদৃঢ় করছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।