পার্বত্য চুক্তি পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে- পার্বত্য উপদেষ্টা

পার্বত্য চুক্তি পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে- পার্বত্য উপদেষ্টা

পার্বত্য চুক্তি পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে- পার্বত্য উপদেষ্টা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, গত ২৮ বছর ধরে সরকার ধারাবাহিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, পার্বত্য অঞ্চলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ ও তিনটি জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে, যা এই অঞ্চলের জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসন কাঠামোকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে।

২ ডিসেম্বর ২০২৫ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো উল্লেখ করেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি দীর্ঘদিনের সংঘাত, অবিশ্বাস ও অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

বাণীতে তিনি বলেন, এই চুক্তি কেবল একটি রাজনৈতিক সমঝোতা ছিল না, এটি ছিল দেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রেখে শান্তি, সহাবস্থান এবং ন্যায্যতার নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি মহৎ অঙ্গীকার। চুক্তিটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করেছে। চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পর্যটনসহ অন্যান্য খাতে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তবে আরো হতে পারতো। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক ই-লার্নিং সুবিধা পৌঁছানো থেকে শুরু করে সমতাভিত্তিক জীবনমান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে হলে প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সংস্কৃতি আরও শক্তিশালী করা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায় একে অপরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে সম্মান জানিয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে এই অঞ্চল সত্যিকারের শান্তি ও অগ্রগতির মডেলে পরিণত হবে।

বাণীতে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালিসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *