জেনারেটর বিষ্ফোরণে রাঙামাটি বন বিভাগ পুড়ে ছাই
 
                 
নিউজ ডেস্ক
কার্যালয়ের ভেতরে থাকা জেনারেটরের বিষ্ফোরণ হয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় অবস্থিত বন বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের একাধিক ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ মার্চ রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র মতে, সকালে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ জেনারেটরটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিস্ফোরন ঘটে এবং সৃষ্ট আগুন অফিস ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, যুব রেড ক্রিসেন্টসহ স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বন বিভাগের দক্ষিন বনবিভাগ, উত্তর বনবিভাগ, জুম নিয়ন্ত্রন বনবিভাগ ও অশ্রেণীভুক্ত বনবিভাগের প্রধান কার্যালয়। এই বিভাগগুলোর প্রধান কার্যালয় বনরূপায় একই ভবনে অবস্থিত। সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার সকালে অফিসে আসেন কর্মকর্তা কর্মচারিরা। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালু করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই সকাল সাড়ে নয়টায় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে প্রায় দুইঘন্টা চেষ্টার পর সাড়ে এগারোটায় আগুণ নিয়ন্ত্রনে আসে।
দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুর জামান শাহ্ জানিয়েছেন, “সকালে জেনারেটর রুম থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে আমাদের বনবিভাগের প্রায় সব নথিপুড়ে গেছে। আমরা একটি কমিটি করে অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষতি নিরূপন করার চেষ্টা করব।”
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানিয়েছেন, “আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করেছি। এখন বনবিভাগের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের চেষ্টা করব। তবে প্রাথমিকভাবে জেনারেটর দূর্ঘটনাতেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে মনে হয়েছে।”
রাঙামাটির কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুসারে জেনারেটর দূর্ঘটনায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে আমরা দেখেছি তাদের সকল প্রকার অফিসিয়াল নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তারা একটি তদন্ত কমিটি করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন, এই কমিটির তদন্তের পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
