ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৮শ পরিবারের পাশে চেয়ারম্যান রোমান, থাকবেন শেষ পর্যন্ত - Southeast Asia Journal

ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৮শ পরিবারের পাশে চেয়ারম্যান রোমান, থাকবেন শেষ পর্যন্ত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সারাবিশ্বে মাহামারীতে আকার নেয়া করোনা ভাইরাস থেকে পাহাড়ের জনসাধারণকে বাঁচাতে ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ তহবিল থেকে রাঙামাটি সদর উপজেলার দূর্গম পাহাড়ে হাতে হ্যান্ড মাইক ও কাঁধে স্প্রে মেশিন নিয়ে ঘরে ঘরে ঘুরছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খরচ করে ত্রাণ বিতরণ করছেন পাহাড়ীদের মাঝে। এ পর্যন্ত অন্তত ৮ শতাধিক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন রাঙামাটির জনমানুষের এই নেতা।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে উপজেলার মগবান ইউনিয়নের বরাদম বাজার ও আশপাশের এলাকার অলিগলিতে তিনি পিকআপ ভ্যানে করে জীবাণুনাশক পানি ছিঁটিয়ে জীবাণুমুক্ত করেন। এর পাশাপাশি তিনি নিজ কাঁধে স্প্রে মেশিন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন ও হ্যান্ড মাইকে সকলকে সচেতন করেন। আর জনসাধারণকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী কোন ত্রাণ পাননি এমন পরিবার খুঁজে বের করে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। পাশাপাশি রাতের আঁধারে তিনি একাই বেরিয়ে পড়েন শহরের অলি-গলিতে। ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন রাঙামাটিবাসীর, যথাসম্ভব চেষ্টা করছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর। এসময় মগবান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা ও অন্যান্য ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ এপ্রিল রবিবার রাঙামাটি সদরের কুতুবছড়ি ইউনিয়নের কুতুবছড়ি বাজার ও আশেপাশের এলাকায় নিজ উদ্যোগে জীবাণুনাশক পানি ও হ্যান্ড মাইকে জনসাধারণকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করেন তিনি। নিজ খরচে পিকআপ ভ্যানে জীবাণুনাশক পানি নিয়ে কুতুবছড়ি বাজার ও এর আশেপাশের এলাকার সকল অলিগলিতে ছেঁটান তিনি। এছাড়াও তিনি হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বাজারের দোকানী, ক্রেতা ও এলাকাবাসীকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করেন ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান। এসময় কুতুবছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ্ম কুমার চাকমা ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত দূর্গম ইউনিয়নে করোনা সচেতনতা মূলক কর্মসূচী সম্পর্কে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগনের যতটা সম্ভব কাছে গিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমি চাই আমার উপজেলার কোন পরিবারই যাতে তাদের কোন প্রিয়জনকে না হারায়। তাই যারা আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজ উদ্যোগে এলাকায় জীবাণুনাশক পানি ছেঁটানো ও জনসাধারণকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি ব্যাক্তিগতভাবে ৮০০ এর অধিক পরিবারকে ইতিমধ্যে সহযোগিতা করেছি এবং আমি কাউকে দান করে ফটোসেশনে বিশ্বাস করিনা তাই আমি নিরবে এই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় জনগনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাই এবং তাদের ভোটেই উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হই। তাই এই দূর্যোগের সময়ে জনগণের পাশে থাকতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই আমার যত কষ্টই হোক না কেন, আমি পাহাড় ডিঙ্গিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর আমার এই পরিশ্রমের ফলে যদি উপজেলার কোন একটি প্রিয়মুখ যদি হারিয়ে না যায় তাহলে এটাই হবে আমার স্বার্থকতা ”।