বান্দরবানে আদালত কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা, ওসিসহ ৪ কর্মকর্তাকে শোকজ
![]()
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারী মেহ্লা অং মারমাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ায় সদর থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে স্বশরীরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসানের আদালত গত ২৩ জুলাউ বুধবার বিকালে এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, এসআই বিপুল চন্দ্র রায়, এসআই মজিবুর রহমান, এসআই প্রণব কান্তি দাশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলা জজ আদালতে কর্মরত জারিকারক মেহ্লাঅং মারমা গত ১০ জুন দুপুর ১টার দিকে যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজের নির্দেশক্রমে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী ও বিভিন্ন অফিসিয়াল চিঠিপত্র নিয়ে বিচারকের বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বাসায় মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় সদর থানার সম্মুখে এসআই প্রণব কান্তি দাশের নেতৃত্বাধীন পুলিশের টহল টিম পথরোধ করে এবং তার পরিচয় ও গমনস্থল জানতে চাইলে সে তার পরিচয় ও গমনস্থল সম্পর্কে অবগত করে।
ভার্চুয়াল আদালতের চলমান কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বিজ্ঞ বিচারকের নিকট যাচ্ছিলেন মর্মে অবগত করা সত্ত্বেও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা এসআই প্রণব কান্তি দাশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না বলে অধীনস্থ দুইজন কনস্টেবলকে দিয়ে জারিকারক মেহ্লাঅং মারমাকে মোটরসাইকেলসহ থানায় আটক করে রাখেন। থানার ডিউটি অফিসার মজিবুর রহমান গাড়ির চাবি নিয়ে নেন।
এ ঘটনায় আদালত সমন জারি করার পর ওইদিনই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসানের আদালতে (আমলী আদালতে) এসআই বিপুল চন্দ্র রায়, এসআই প্রণব কান্তি দাশ, কনস্টেবল সঞ্জয় বণিক ও কনস্টেবল স্মরণ বড়ুয়া উপস্থিত হয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। কিন্তু আদালতের নিকট তাদের লিখিত বক্তব্য সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করায় এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে ওই কর্মচারীকে বেআইনিভাবে আটক করায় বান্দরবান সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, এসআই বিপুল চন্দ্র রায়, এসআই মজিবুর রহমান, এসআই প্রণব কান্তি দাশকে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু গত ২১ জুলাই পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের সময়ের প্রার্থনাও করেননি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজুল ইসলাম সজিব জানান, নোটিশের কোনো জবাব এবং স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ না দর্শানোর কারণে আদালত আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য পুনরায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ব্যর্থতার দায়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।