খাগড়াছড়িতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিন কোর্ট বর্জনের ঘোষণা আইনজীবিদের
 
নিউজ ডেস্ক
সরকারি নির্দেশনা পালনে গড়িমসি, আইনজীবিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মামলায় অহেতুক গড়িমসি করার অভিযোগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাময়িক বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতি।
আজ ১২ আগষ্ট বুধবার দুপুর ২ঘটিকার সময় আইনজীবি সমিতির হলরুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ন্ত্রনাধীন তিন কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট আশুতোষ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আকতার উদ্দিন মামুন।
এসময় সভাপতি এডভোকেট আশুতোষ চাকমা বলেন, করোনাকালে সরকার গত ২রা জুলাই ভার্চুয়ালে কোর্ট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিলেও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস কোর্ট পরিচালনা না করে উল্টো ২৭জুলাই তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে আলোচনার জন্য সভা ডেকে গড়িমসি করা, আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্ধ একাধিকবার দেখা করে কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করলে তা না করে উল্টো আইনজীবিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করা এবং মামলায় অহেতুক গড়িমসি করার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো রেজুলেশন আকারে আইন, জনপ্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই বর্জন কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সকল আইনজীবিকে অনুরোধ জানান।
এসময় সিনিয়র আইনজীবি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া, কামাল উদ্দিন মজুুমদার. ফিরোজুল আলম, আলী নুর, রতন কুমার দে, মালেক মিন্টুসহ সকল আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় গত এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ৬৯০ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এতে ৩,০০২ টি মামলার বিপরীতে ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়। তবে কয়টি অভিযানে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
