নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম দিনেই কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ ১৯৭ টন !
![]()
নিউজ ডেস্ক
মা মাঝের প্রাকৃতিক প্রজননকালীন সময়ে মোট তিন মাস দশ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত ১১ আগষ্ট মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয় দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে। আর প্রথমদিনেই হ্রদ হতে ১৯৭ টন আহরিত মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে বিএফডিসির নিজস্ব বিপণনকেন্দ্রে। এ মাছ হতে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।

বিএফডিসি সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস ১০ দিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আহরণ শুরু হয়েছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছেন জেলে, শ্রমিক-কমচারী, ব্যবসায়ীসহ সকলেই। চালু হয়েছে বিএফডিসির তিনটি বরফকলও। গত বছর মাছ আহরণের প্রথম দিনে ১২৮ টন মাছ আহরিত হয়েছে বছর দাঁড়িয়েছে ১৯৭ টনে। এছাড়া গত বছর প্রথম দিনে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৩ লাখ টাকা; যা এবছর হয়েছে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিবছরই কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরাসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এবছর তাই দেয়া হয়েছে। তবে হ্রদে পানি কম থাকায় আমরা পানির অপেক্ষায় ১০ দিন পর আহরণ চালু করেছি। এই বছর গত বছর প্রথমদিনের চেয়ে বেশি মাছ আহরিত হয়েছে। যার কারণে এই বছর বেশি রাজস্বও আদায় হয়েছে। এই বছর প্রথমদিনেই আমাদের কাছে মাছ এসেছে ১৯৭ টন। চলতি বছরে গত বছরের চেয়ে বেশি মাছ আহরিত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে ১২ হাজার ৬৯৫ টন মাছ আহরিত হয়েছে। এর বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এছাড়া এই বছর আমরা কাপ্তাই হ্রদে ৪৩ টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। যা বিগত সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ।