বান্দরবানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ কর্মী নিহতের প্রতিবাদ, পরিবারের পাশে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর
![]()
নিউজ ডেস্ক
গত ১লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পার্বত্য জেলা বান্দরবানে উপজাতি আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগের ইউনিট কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মং চিংউ মার্মা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জেলা শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কেলু মংয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইসলাম বেবি, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল দাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী, কৃষক লীগের সভাপতি প্রজ্ঞাসার বড়ুয়াসহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বক্তারা, অনতিবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, এ হত্যার যথাযথ বিচার না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে মংচিংউ মার্মা (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হন। তিনি চিং ক্যাউ কারবারী পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় ৭-৮ জনের শসস্ত্র একটি দল বাঘমারা এলাকায় এসে মংচিংউ মার্মাকে ব্রাশ ফায়ার করে চলে যায়। তিনি ২ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) থেকে যুবলীগে যোগ দেন। তিনি জামছড়ি যুবলীগের ইউনিট কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। যুবলীগে যোগ দেয়ার কারণে তাকে জেএসএস সদস্যরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ পরিবারের।

এদিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা মংচিংউ মার্মা (৪০) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ২রা সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সময় সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্ত্রী’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা লক্ষীপদ দাস, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অজিত কান্তি দাশ, জেলা যুবদলের আহব্বায়ক কেলুমং মারমা, যুবলীগ নেতা আজমসহ নেতাকর্মীরা। এসময় নিহত যুবলীগ নেতার সৎকার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে স্ত্রী’র হাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেন উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতারা।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের পরিবারকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো কোন মামলা হয়নি। নিহতের সৎকার অনুষ্ঠান শেষে নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবারের পক্ষ হতে জানানো হয়, নিহত যুবলীগ নেতা বছর খানেক আগে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ছেড়ে যুবলীগে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাকে প্রানণাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো জেএসএস। এছাড়া তার মৃত্যুর ঘটনায় জেএসএসকেই দায়ী করেছে স্থানীয়রা।