পাহাড়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির নামে মিথ্যাচার করছে জেএসএস (সন্তু)
ফিচার ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশের নামে ভিত্তিহীন, বানোয়াট, নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার, ক্ষেত্র বিশেষ প্রকৃত ঘটনাকে বিকৃত করে ও মিথ্যাচার চালিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক সময়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা সংগঠন শান্তি বাহিনীর নেতা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ও তার দল সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। নিজেদের তথ্য ও প্রচার বিভাগের নামে থাকা ওয়েব সাইট থেকে প্রতিমাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশের নামে সরকার, নিরাপত্তাবাহিনী ও সেখানে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে এসব ঘৃন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে সংগঠনটি। (১)
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগ “আগষ্ট ২০২০- পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবাধিকার পরিস্থিতির মাসিক প্রতিবেদন” নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা প্রতিবেদকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিবেদনে মোট ৫টি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে তা প্রকাশ করে সংগঠনটি। এর মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন, সেনা সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীর উপর সহিংসতা, মুসলিম সেটেলার ও বহিরাগত কোম্পানী কর্তৃক ভূমি বেদখলসহ বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে এক মারমা ব্যক্তিতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে, চিরাচরিত ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঘিরে অপপ্রচার চালিয়ে আগষ্ট মাসের বিভিন্ন সময়ে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর, দোকানপাট ভাংচুরসহ নানা হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখিত একটি ঘটনায় জানা যায়, “১৩ আগস্ট ২০২০ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় জনৈক এক মুসলিম চিকিৎসক হত্যাকান্ডের সাথে মিথ্যাভাবে জড়িত করে ৪ জুম্মকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠাল পাড়ার ডেনি ত্রিপুরা (২২), সুমন ত্রিপুরা (২০), দিপন ত্রিপুরা এবং গুইমারা উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নের মাইরুং পাড়ার শান্তি ত্রিপুরা (২৬)। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই কে বা কারা নূর মোহাম্মদ টিপুকে হত্যা করে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়।” বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ পত্র ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ভোরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গায় গর্ভবতী এক উপজাতি নারীর চিকিৎসার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে একদল উপজাতি সন্ত্রাসী পল্লী চিকিৎসক নূর মোহাম্মদ টিপুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তার লাশ উপজেলার সাপমারা এলাকায় পাহাড়ী ছড়ার পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনার কিছুদিন পর টিপু হত্যার ঘটনায় ৭ আসামিকে আটক করে পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দিন ভূঁইয়া বলেছিলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলার ৭ আসামিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। (২) আটককৃতরা বর্তমানে জেল হাজতে আছেন। টিপু হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে ৭ আসামী গ্রেফতার করলেও এ ঘটনায় সেনাবাহিনীকে দায়ী করে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় জেএসএস (সন্তু)।
অপরদিকে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অন্য একটি ঘটনায় জানা যায়, “১৬ আগস্ট ২০২০ খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক ২ জুম্মকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সমেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে সুদীপ্ত (৩৫), গ্রাম- সুকান্ত মহাজন পাড়া, সিন্দুকছড়ি, গুইমারা এবং মোটর সাইকেল চালক মমংশি মারমা (৩০), গ্রাম- টিলাপাড়া, কালাপানি গুইমারা। পরদিন ১৭ আগস্ট সমেন্দ্র ত্রিপুরাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।” এ ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোটরসাইকেল চালক মংসি মারমা ও প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফের চাঁদা কালেক্টর সমেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে সুদীপ্তকে বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদসহ আট করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়, মানিকছড়ি থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে অপপ্রচার চালিয়ে অভিযোগ করা হয়, “২১ আগস্ট ২০২০ রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্মকর্তারা করোনা মহামারীর জন্য বরাদ্দকৃত ইউএনডিপি’র উক্ত চাল বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। আওয়ামীলীগ ও সেনা কর্তৃপক্ষ চাল বিতরণের উপকারভোগীদের মধ্যে ৬০% শতাংশ আদিবাসী জুম্ম বলে অভিযোগ তুলে এবং এটাকে সাম্প্রদায়িকতার লেবেল দিয়ে ইউএনডিপি’র চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।” এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ পত্র ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বাঘাইছড়ির সাজেক ছাড়াও খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে করোনাকালীন ইউএনডিপির সলিডারিটি প্যাক বিরতরণে নানা বৈষম্যেও অভিযোগ উঠে। (৩) এছাড়াও রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালীতে ইউএনডিপির সলিডারিটি প্যাকে পঁচা আলু, পেঁয়াজসহ নি¤œমানের খাদ্যদ্রব্য বিতরণের অভিযোগ উঠে। (৪) এসব অনিয়ম, বৈষম্য ও মানহীন খাদ্যদ্রব্য বিতরণের প্রেক্ষিতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং ইউএনডিপির কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুললে জনরোষ থেকে রক্ষা পেতে তাৎক্ষনিক সাজেকে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে দেয় ইউএনডিপি। অথচ এ ঘটনাকে রং মাখিয়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্মকর্তাদের জড়িয়ে অপপ্রচার চালায় জেএসএস (সন্তু)’র তথ্য ও প্রচার বিভাগ।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, “২৬ আগস্ট ২০২০ খাগড়াছড়ির জেলাধীন পানছড়ি উপজেলার বিজিবি পানছড়ি জোনের লে. কর্নেল মোঃ রুবায়েস আলম-এর নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য চেঙ্গী ইউনিয়নের তারাবন গীর্জা এলাকায় একটি অস্থায়ী বাজারে হানা দিয়ে জুম্মদের ১৫-২০টি দোকান ভাঙচুর করে দেয়। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এলাকাবাসী অস্থায়ীভাবে এ বাজারটি স্থাপন করে। এবং ২৯ আগস্ট ২০২০ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বাবুরো পাড়া এলাকায় চালু হওয়া অস্থায়ী বাজারটিতে হঠাৎ বিজিবি’র লোগাং বিওপি, ধুধুকছড়া বিওপি ক্যাম্প ও পানছড়ি থানা হতে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে বাজার বসাতে বাধা প্রদান করে এবং বাজারে মালামাল কেনা-বেচা করতে আসা লোকজনকে জোর করে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে লোকজন প্রতিবাদ করলে পরে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বেচা-কেনা করতে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। অপরদিকে পানছড়ি ও পুজগাঙ এলাকার ব্যবসায়ীদের লোগাং বিজিবি চেক পোস্টে আটকে রেখে বাবুরো পাড়ায় অস্থায়ী বাজারে যেতে বাধা প্রদান করেছে।” এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সৃষ্ট মহামারি ঠেকাতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা মোকাবেলায় মাঠে থাকা পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেট ও সেনাবাহিনী নিয়মিট হাঁট-বাজারগুলো অন্যত্র সরিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে খোলা মাঠে স্থানান্তর করে। (৫) এরই ধারাবাহিকতায় পানছড়ির বিভিন্ন বাজারও পাশের স্কুল-কলেজের মাঠে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে দেশে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উত্তোরণ হলে পুনরায় আগের জায়গায় বাজার স্থাপনের অনুমতি দেয় প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে পানছড়ির বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী খোলা বাজারগুলো স্থায়ী বাজারে স্থানান্তরে স্থানীয়দের নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। কিন্তু এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে নিরাপত্তাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে জেএসএস (সন্তু) এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এছাড়া প্রতিবেদনটিতে “সেনা-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা” কলামে দাবী করা হয়েছে, “আগস্ট ২০২০ মাসে সেনা-সমর্থিত সংস্কারপন্থী ও গণতান্ত্রিক-ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কর্তৃক ২ জনকে হত্যা, ১ জনকে আহত, ২ জনকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, ২ জনকে হুমকি-হয়রানি ও ১টি মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।” এসব ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দল জেএসএস ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ছাড়াও আরো দুটি আঞ্চলিক উপজাতি দল (এমএন লারমা সমর্থিত জেএসএস ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক) রয়েছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ মূল দলের মতোই অপর দুটি দলও পাহাড়ে তাদের দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে এসব দলগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত তথা সশস্ত্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এছাড়াও জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে নিজেদের চাঁদার ভাগভাটোয়ারা বা মতাদর্শের অমিল হলেও অন্তঃকোন্দলে গোলাগুলিসহ ব্যাপক প্রানহাণীর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সর্বদা সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় স্বার্থান্বেষী মহলটি। আরেকটি অভিযোগে বলা হয়, “১৫ আগস্ট ২০২০ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া বাজার এলাকায় বাঙালি সেটেলারদের গুচ্ছগ্রামে সেনা মদদপুষ্ট সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক সন্ত্রাসীদের আস্তানায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা আব্দুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪৫) নিহত হয় এবং তার ছেলে মো: আহাদ (১০) আহত হয়।” এ ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ পত্র ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে থেকে জানা যায়, উক্ত গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আঃ মালেককে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছিলো ইউপিডিএফ (প্রসীত)। পরবর্তীতে রাতের আঁধারে মালেকের বাড়িতে ব্রাশ ফায়ার করে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সন্ত্রাসীরা। (৬)
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আগষ্টে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও বান্দরবানের লামায় ২ উপজাতি কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন। বিবরণে জানা যায়, লামায় এক বাঙ্গালী প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের স্বীকার হয় এক উপজাতি বিধাব নারী। এছাড়া খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে সংঘবন্ধ ধর্ষণ চালায় কয়েকজন যুবক। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের আটকও করেছে এবং আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকাকালীন সময়ে জেএসএস (সন্তু) বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ ও বাঙ্গালী বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে বলে প্রতীয়মান। এছাড়া প্রতিবেদনে এসব উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মহিলাদের সংবিধান বিরোধী আদিবাসী দাবী করে সংবিধান লঙ্গন করেছে জেএসএস (সন্তু)।
প্রতিবেদনে সর্বশেষ, “মুসলিম সেটেলার ও বহিরাগত কোম্পানী কর্তৃক ভূমি বেদখলের অভিযোগ” আনা হয়েছে। এতে পাহাড়ে বাঙ্গালী সম্প্রদায়কে ভূমি বেদখলকারী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে জেএসএস (সন্তু) নিজেদের অপকর্ম ও ভূমি দখল করে মন্দির, কিয়াংসহ বিহার নির্মানের অপরাধ ঢাকতে চেষ্টা করছে।
সর্বোপরি, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)র তথ্য ও প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলো তদন্ত ও সরজমিনে প্রত্যক্ষ করে জানা যায়, এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচারমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সরকার, সংবিধান, নিরাপত্তাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে জেএসএস ও সংগঠনটির প্রধান সন্তু লারমা দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে দেশের সরকার ও নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষনে প্রয়াস চালাচ্ছে। নিজেদের অবৈধ অস্ত্রেও ব্যবহার, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার মতো অপরাধ ঢাকতে এবং দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিজেদেও স্বার্থ হাসিল করতেই এমন ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবেদনে সরকার, সংবিধান, নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ ও সংবিধান বিরোধী আদিবাসী শব্দের ব্যবহারসহ পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালী বিদ্বেষ ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু)’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।
তথ্যসূত্র:
১। ipdpcjss.wordpress.com/2020/09/10/আগস্ট-২০২০-পার্বত্য-চট্ট/
২। ctgpratidin.com/খাগড়াছড়িতে-পল্লী-চিকিৎসক/
৩। southeastjournalbd.com/archives/11043
৪। www.pahar24.com/পচা-আলু-পেঁয়াজ-বিতরণ-ইউএন/
৫। www.banglanews24.com/economics-business/news/bd/782730.details
৬। www.parbattanews.com/ইউপিডিএফ-সন্ত্রাসীদের-হা/
1 thought on “পাহাড়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির নামে মিথ্যাচার করছে জেএসএস (সন্তু)”
Comments are closed.