গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক সহযোগিতা বিনিময়ে ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি সই - Southeast Asia Journal

গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক সহযোগিতা বিনিময়ে ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের টু প্লাস টু সংলাপে দুই দেশের মধ্যে বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট (বিইসিএ) চুক্তি সই হয়েছে। এ চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে ভূরাজনৈতিক গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক সহযোগিতা বিনিময়ের কথা রয়েছে।

নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ও তার ভারতীয় কাউন্টারপার্ট রাজনাথ সিং বিইসিএ চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দেন। মার্ক এসপার বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তি এখন প্রতিরক্ষা খাত। আমাদের সাধারণ স্বার্থ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে সবার জন্য মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতের জন্য আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে যখন চীন আগ্রাসীভাবে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, এ চুক্তি আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সব দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই আইনসম্মত ও মুক্ত চলাচল নিশ্চিতে দুই পক্ষের অঙ্গীকারবদ্ধতাকে আরো দৃঢ় করেছে।

আগামী মাসেই ভারত মহাসাগরে এক যৌথ নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মহড়ায় তথাকথিত কোয়াড জোটভুক্ত চার দেশেরই (ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া) অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। অনেকেই বলছেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে চীনের শক্তিশালী হয়ে ওঠা ঠেকাতে অনানুষ্ঠানিক কোয়াড জোটকে ‘এশিয়ার ন্যাটো’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে টোকিওতে কোয়াড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আঞ্চলিক পর্যায়ে চীনের ক্রিয়াকলাপই এ সময় কোয়াডকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আশপাশের অঞ্চলে চীন সরকারের আগ্রাসী নীতিই বেইজিংয়ের আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ওই কর্মকর্তা সে সময় হিমালয় অঞ্চলের সীমান্তের ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন।