জাতিসংঘের আপত্তির কারণে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে দেরি হচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী - Southeast Asia Journal

জাতিসংঘের আপত্তির কারণে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে দেরি হচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা রাজি থাকলেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের আপত্তির কারণে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে দেশ-বিদেশের প্রায় শতাধিক এনজিও কাজ করছে। আর রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের দিকটি দেখছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও ইউএনএইচসিআর। আন্তর্জাতিক দাতাদের অর্থায়নে এ দুটো সংস্থাই রোহিঙ্গাদের দেখভাল করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রথমবারের মতো গিয়ে পরিস্থিতি দেখাটি ছিল এক সমাদৃত পদক্ষপ। তবে, প্রস্তাবিত জাতিসংঘের কারিগরি ও সুরক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টিকে এগিয়ে নেয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে সেখানে ইতোমধ্যে স্থানান্তরিত ৩০৬ শরণার্থীর মানবিক ও সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে আলাদাভাবে সফর দরকার। তিনি জানান, এখন অনেক রোহিঙ্গাই সেখানে যেতে রাজি হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম পার হলেই কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ন প্রকল্পে নেয়া হবে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাস উপযোগী সব ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ প্রতিনিধি, রেডক্রস ও শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার অফিসের জন্যও একটি করে ভবন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ব্রিটিশ হাইকমিশনার, কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা প্রধান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের মতো বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে পর্যায়ক্রমে সেখানকার আশ্রয়ন প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দিনক্ষণ ঠিক হলেই কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, কুতুপালং ক্যাম্পে ঝুঁকিতে থাকা এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নিতে নিজস্ব অর্থায়নে আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এতে আপত্তি জানিয়ে আসছে দাতা সংস্থারা। এরই মধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ৪০ রোহিঙ্গা নেতাকে ভাসানচর ঘুরিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে, ২০১৭ সালের আগে-পরে মিলিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ঠাঁই নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এতে কক্সবাজারের পরিবেশগত ক্ষতির পাশাপাশি স্থানীয়দের সাথে প্রায়ই ঘটছে সংঘাত। এতে কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।