সড়ক ও রেলপথে মিয়ানমার হয়ে চীনের সাথে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, মিয়ানমার হয়ে সড়ক ও রেলপথে চীনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে চীনের দূতাবাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বাড়বে কয়েকগুণ, এমনকি বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার দুরত্বও সমানভাবে কমে আসবে। এর ফলে বাড়বে বাণিজ্য এবং কমবে পণ্যের উৎপাদন খরচ। গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ(সিপিডি) কর্তৃক আয়োজিত “বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সহযোগিতাঃ অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি” শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
উক্ত আলোচনায় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো গভীর হবে এবং চীনের জন্য নির্মিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পরে দেশটির বিনিয়োগের তৃতীয় বৃহত্তম গন্তব্য হবে বাংলাদেশ এবং চীনের দেয়া ৯৭% পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি কমে আসবে। আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি মিং বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে চীনের মুদ্রা ইউয়ান/ আরএমবি ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “লেনদেন সহজ ও ডলারের ওপর চাপ কমাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা লেনদেনের একটি অংশ আরএমবি দিয়ে করতে পারে। এটা বছরে ৫ বিলিয়ন আরএমবি পর্যন্ত হতে পারে।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চীনের সিগনেচার প্রকল্প “বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ” এর আওতায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আসছে চীন এবং যার আওতায় ট্রান্স-এশীয় নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে একটি প্রকল্প গৃহীত হয় যার মাধ্যমে বাংলাদেশ কক্সবাজারের দোহাজারী থেকে মিয়ানমারের গুনধুম হশে রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চীনে যুক্ত হবার একটি প্রকল্প হাতে নেয় এবং প্রকল্পটি এখনো চলমান এবং এই ট্রান্স-এশীয় নেটওয়ার্কের আওতায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হবে।