অপসাংবাদিকতা রোধে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষা এবং সাংবাদিক নামধারী অপসাংবাদিকতা রোধে জরুরী যৌথ সভা করেছে পেশাজীবি সাংবাদিকরা। গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে দীর্ঘ সময় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব হলরুমে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) ও টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত মূলধারার পেশাজীবি সাংবাদিকরা উপস্থিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দৈনিক অরণ্যবার্তার সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দীলিপ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিম উল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মোহাম্মদ, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আলোকিত পাহাড় পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ সাজু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সৈকত দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য, সমকালের জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরী, একুশে টিভির চিংমেপ্রু মারমা, আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি রফিকু ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি শংকর চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের আজাহার হীরা, যমুনা টিভির শাহরিয়ার ইউনুস, বৈশাখী টেলিভিশনের অপু দত্ত, এশিয়ান টেলিভিশনের বিপ্লব তালুকদার ও সাংবাদিক মো: শাহজাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘সুষ্ঠু সাংবাদিকতার পরিবেশের জন্য সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপসাংবাদিকতা রোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এমন কোন কাজ করা যাবেনা যে কাজ সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করবে। সাংবাদিকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়িতে অপসাংবাদিকতার চর্চা বেড়ে গেছে। ভূঁইঁফোর অনলাইন ও অপরিচিত পত্রিকার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে করে পেশাজীবি সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।অপসাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশা আজ কলংকিত হচ্ছে।অপসাংবাদিকতার কারনে মূলধারার পেশাজীবি সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। টাকার বিনিময়ে ভূইঁফোর অনলাইন ও অপরিচিত পত্রিকার কার্ড নিয়ে আসছে, রাস্তার হকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের এমআর, এসআর, টমটম চালক। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কিছু লোককে টাকার বিনিময়ে কার্ড ঝুলিয়ে দিয়ে ব্যুরো অফিস বানিয়ে দোকান খুলেছে। এখানে ব্যুরো চীফ, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ধর্ম বিষয়ক প্রতিনিধি, দক্ষিণ জেলা, উত্তর জেলা প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্টার, উপজেলা প্রতিনিধি, সদর থানা প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে প্রতারক চক্র সর্বত্র বিচরণ করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। একটি উপজেলায় বিভিন্ন পদবী দিয়ে ৭ থেকে ১০জন সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে জেলায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
যৌথ সভা থেকে জেলার পেশাজীবি সাংবাদিকতার কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গঠিত যাচাই-বাছাই ও পর্যবেক্ষণ কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করা, হলুদ সাংবাদিকদের নামের তালিকা সহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ সহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
