৩৪৬ আসন নিয়ে মিয়ানমারে ফের অং সান সু চির জয়
 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সুচির দল পেয়েছে ৩৪৬টি আসন, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২২টি আসন। এনএলডির মুখপাত্র মনিওয়া অং শিন বলেন, আমরা ভূমিধস জয় পেয়েছি। তবে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমরা জাতীয় সরকারের মতো করে একটি সরকার গঠন করব।
জানা যায়, মিয়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪২৫ ও উচ্চকক্ষে ১৬১ আসন রয়েছে। ৫০ বছরের বেশি সময়ের সেনাশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২০১৫ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সু চির এনএলডি ভূমিধস জয় পায়। ওই বছর দলটি সংসদের মোট ৩৯০ আসনে বিজয়ী হয়। একসময় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে খ্যাতি অর্জন করা সু চি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েন।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানালেও সেখানকার ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানকার ৩ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা ভোট দেয়ার সুযোগ পাননি। বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে নামের অধিকার গ্রুপ এবারের নির্বাচনকে জাতিবিদ্বেষী নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, মিয়ানমারের নির্বাচন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ হয়নি। দেশটির বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২০ লাখ মানুষ ভোটবঞ্চিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে নৃশংসতা শুরু করে মিয়ানমারের সেননাবাহিনী। গণধর্ষণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ এমন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। এসব কারণে বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সেনাবাহিনীর হয়ে সাফাই গেয়েছেন অং সান সু চি।
