১৫টি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠল বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট - Southeast Asia Journal

১৫টি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠল বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠল বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান ও তাদের মুক্ত বাণিজ্য অংশীদার পাঁচটি দেশ গতকাল একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ চুক্তির মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্যে চীনের প্রভাব আরো জোরদার হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারিত্ব চুক্তি থেকে পিছু হটায় এ অঞ্চলে তাদের প্রভাব অনেকটাই খর্ব হবে বলে মত তাদের। এর বিপরীতে চীন এ অঞ্চলে আরো প্রভাবশালী হয়ে উঠল মনে করা হচ্ছে।

গতকাল (১৫ নভেম্বর) ৩৭তম আসিয়ান সম্মেলনের সমাপনী দিনে রিজিয়নাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) শীর্ষক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন আসিয়ানভুক্ত দশটি দেশ ও তাদের এফটিএ অংশীদার পাঁচটি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চুক্তিবদ্ধ হওয়া ১৫টি দেশ হলো আসিয়ানভুক্ত ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এবং তাদের এফটিএ অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন। চুক্তিটি স্বাক্ষর হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী চ্যান চুন সিং জানান, আরসিইপি কার্যকর হতে অন্তত ছয়টি আসিয়ান দেশ ও তিনটি আসিয়ান-বহির্ভূত অংশীদার দেশের অনুমোদন পেতে হবে। সিঙ্গাপুর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ চুক্তিতে অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।

এদিকে এবারের আসিয়ান সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন হওয়ান ফুক বলেছেন, চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো শিগগিরই আরসিইপি কার্যকরের অনুমোদন দেবে এবং কভিড-১৯ মহামারী-উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অবদান রাখবে বলে তিনি আশা করছেন। আরসিইপিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এফটিএ বলা হচ্ছে, কারণ বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী ও এক-তৃতীয়াংশ জিডিপি এ বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আসবে। চুক্তিবদ্ধ ১৫টি দেশে প্রায় ২২০ কোটি মানুষের বসবাস। অর্থাৎ বাজারটি বেশ বড়। আর বৈশ্বিক জিডিপিতে অঞ্চলটির সম্মিলিত অবদান ৩০ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে এ ১৫টি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার।

আরসিইপি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এ চুক্তির ফলে আশিয়ানভুক্ত ১০টি দেশের পাশাপাশি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বাণিজ্যিক পরাশক্তির সঙ্গে সরাসরি অংশীদারিত্বে যাচ্ছে চীন। আর বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বে এগিয়ে থাকার অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিপত্তির লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া।