মুক্তিযুদ্ধে শহীদ-বীরাঙ্গনাদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতিসংঘকে ভারতের আহ্বান
![]()
নিউজ ডেস্ক
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হন পাক হানাদার বাহিনীর হাতে। সেই সময় ধর্ষিত হন দুই লাখের বেশি মা-বোন। পাক বাহিনীর হাতে নিহত এবং নির্যাতিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে ভারত। গত বুধবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে নিহতদের স্মরণ করে সংস্থাটির প্রতি এ আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি।
এক টুইট বার্তায়, ‘১৯৭১-এর যুদ্ধে গণহত্যাকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পর্ব’ আখ্যা দিয়েছেন তিরুমূর্তি। তিনি আরও বলেন, ‘আসুন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে মানব ইতিহাসের নৃশংসতম ঘটনায় পাকিস্তানি বাহিনী ও ধর্মীয় মিলিশিয়াদের হাতে নিহত ৩০ লাখ মানুষ এবং ধর্ষণের শিকার দুই লাখের বেশি নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এমন ঘটনার আর যেন প্রতিফলন না হয়। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন গৃহীত হওয়ার দিন (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এর আগে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বার্তায় জানান, গণহত্যার ঘটনাটি ছিল সর্বাধিক ঘৃন্য। যার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সবাইকে তাড়িয়ে বেড়ায়। নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।