কঙ্গোতে বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন
 
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ৩টি কন্টিনজেন্টের মোট ৩২০ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করছে। প্রতিস্থাপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১৮৮জন সদস্য বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া করা একটি বিমানে গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিআর কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা আগামী ১৪ জানুয়ারি ডিআর কঙ্গোতে যাবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-১৮,এয়ার ফিল্ড সার্ভিসেস ইউনিট-১৮ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-১১ নিয়ে গঠিত। ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-১৮ এর কমান্ডার গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান, বিইউপি, পিএসসি ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-১১ এর কমান্ডার গ্রুপ ক্যাপ্টেন আসিফ ইকবাল, এএফডব্লিউসি, পিএসসি প্রথম গ্রুপের সাথে ডিআর কঙ্গো এর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ডিআর কঙ্গোয় বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি ডিআর কঙ্গোগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ঘাঁটি বাশার-এ ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান এবং করোনা ভাইরাস এর বিস্তার রোধ ও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষ সতর্কতা অনুসরণের পরামর্শ দেন।
