রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। দেশজুড়ে বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথমবারের মতো দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে।

জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, ২০১৭ সালে রাখাইন সংকটের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চলমান প্রক্রিয়া আগামী এক বছর আগের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকবে। এমন সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বললেন যখন মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়। রোহিঙ্গারা ৮০ দশক থেকেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে থাকে। তবে ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে জাতিগত নিধনের মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এদিকে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে নতুন করে জাতিগত সহিংসতার আশঙ্কা করছে দেশটির সংখ্যালঘুরা। দেশটির ৫০ বছরের সামরিক শাসনামলে নানা সময়ে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার এসব আদিবাসীরা নতুন করে সহিংসতার শঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। বিশেষ করে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং- এর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটিতে।

পহেলা ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে অং সান সু চিসহ দেশটির কয়েকশ রাজনীতিককে আটক করে। অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এরপর একটি সুপ্রিম কাউন্সিলও গঠন করে। নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সামরিক বাহিনী তা প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

২০১১ সালে দীর্ঘ ৫০ বছরের সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরে মিয়ানমার। কিন্তু দেশটির পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ সেনাবাহিনীর হাতে থাকে। এর আগ পর্যন্ত অর্ধশতক মিয়নমার সেনাবাহিনীর শাসনেই ছিল। সে সময় দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয় সু চিকে।