চতুর্থ দফায় ভাসানচর পৌঁছেছে ২০১৪ রোহিঙ্গা, চট্টগ্রামের পথে আরও সাড়ে ৬শতাধিক রোহিঙ্গা
![]()
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমার থেকে আসা কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ২ হাজার ১৪ জন রোহিঙ্গাকে চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে তারা রওনা দেন। দুপুর ১টার পরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাহাজগুলো ভাসানচর নোঙর করে। এর আগে আরও তিন দফায় রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছিল। আজ সকাল ৬টা থেকে রোহিঙ্গারা নৌবাহিনীর জাহাজে ওঠা শুরু করেন।
জানা যায়, রবিবর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে ১ হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। পরে বিকাল তিনটায় দ্বিতীয় দফায় ১৭টি গাড়িতে আরও ৮৬২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। আজ সোমবার আরও এক হাজার ৮০০ জনকে ভাসানচনে পাঠানোর জন্য চট্টগ্রামে আনার কথা। নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সন্দ্বীপ, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউনিট (এলসিইউ) ১, ২, ৩ ও ৪ নামের জাহাজে করে তাদের ভাসনচরে পাঠানো হয়।
এছাড়া, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ১৩টি বাসে করে সাড়ে ৬শতাধিক রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এ তথ্যটি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আমড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এর কমান্ডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফার দ্বিতীয়দিনের (প্রথম অংশে) ১৩টি বাসযোগে সাড়ে ৬শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসান চরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। প্রথম দফায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জনকে, দ্বিতীয় দফায় ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জনকে, তৃতীয় দফায় চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি দফায় স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে। ভাসানচরের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোট ৯২ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে সরকারের।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলা শুরু হলে তারা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের কক্সাবজারের উখিয়া টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। ইতোমধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগেও আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে।